in , , , ,

ব্লগিং করে ইনকাম করার উপায় এবং সফল ব্লগার হওয়ার পথ

Blogging
Blogging

ইন্টারনেটের যুগে ব্লগিং এখন শুধু শখ নয়, বরং অনেকের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পেশা। সঠিক পরিকল্পনা এবং ধৈর্য ধরে কাজ করলে ব্লগিং থেকে ভাল আয় করা সম্ভব। আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে ব্লগিং করে ইনকাম করা যায় এবং কীভাবে আপনি একজন সফল ব্লগার হতে পারেন।

ব্লগিং কী এবং কেন শুরু করবেন?

ব্লগিং হলো নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বা মতামত অনলাইনে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম। এটি আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়। যদি আপনি লেখালেখি পছন্দ করেন বা কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তবে ব্লগিং হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ প্ল্যাটফর্ম।

শুধু টাকা ইনকাম ই নয়। ব্লগিং একটি নেশাও বটে। যারা একবার এটিকে পেশা হিসেবে নিয়ে নেয়। তারা শত সমস্যার মধ্যেও ব্লগিং করতে হাল ছাড়ে না। সেই সাথে ইনকামের ও বেশ ভালো একটি মাধ্যম এই ব্লগিং ক্যারিয়্যারটা।

কেন ব্লগিং করবেন?

ব্লগিং করার বিশেষ অনেক অনেক প্রকারের সুবিধা বিদ্যমান আছে। তার মধ্যে অন্যতম কিছু সুযোগ সুবিধা নিয়েই আমরা কথা বলেতে পারি। তাহলে সহজেই ব্যাপারটা বুঝাতে সক্ষম হবো বলে ধারনা করি।

ব্লগিং এক সবচেয়ে বেশি সুবিধা হলো নিজের ফেস দেখাতে হবে না। লুকিয়ে লুকিয়ে ই ক্যারিয়্যার গঠন হয়ে যাবেয তার সাথে আরো বিশেষ ভাবে থাকছে

  • নিজের চিন্তা-ভাবনা ও জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
  • নিজের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করার জন্য।
  • ফ্রিল্যান্স কাজ পাওয়ার সুযোগ বাড়ানোর জন্য।
  • প্যাসিভ ইনকামের উৎস হিসেবে ব্লগ থেকে আয় করার জন্য।

ব্লগিং শুরু করার প্রাথমিক ধাপ

প্রতিটি কাজের ই প্রাথমিক কিছু ধাপ থাকে, যা সম্পুর্ন করাটা অনেক টা ই কষ্ট সাধ্য হয়ে পরে আমাদের কাছে। কারন তখন থাকে না ইনকাম, আর থাকে না তেমন ভালো ফলাফল। তবে ধুয়াশায় পুর্ন করা একটি স্বপ্নই শুধু কাজ করাতে থাকে।

সফল ব্লগার হওয়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ব্লগিং শুরু করার প্রাথমিক ধাপগুলো আলোচনা করা হলো:

সঠিক নিশ নির্বাচন করুন

আপনার ব্লগের মূল বিষয় কী হবে, তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করুন। এটা হতে পারে টেকনোলজি, ফ্যাশন, ট্রাভেল, ফুড, শিক্ষা বা যেকোনো কিছু। আপনার আগ্রহ এবং জ্ঞান যেখানে বেশি, সেখান থেকেই শুরু করুন।

এক কথায় আপনি মুলত কোন টপিকে লেখালেখি করতে চান, সেটিকেই বলে নিশ। তবে যে বিষয়ে আপনি ভালো বুঝেন সেই বিষয়ে ব্লগিং করা ই ভালো। যদিও না জানলে শিখে নিয়েই কাজ করতে হবে। কিন্তু একদম ই ধারনা নেই এমন কোন বিষয়ে শুরু করাটাও আন্দাজে ঢিল ছোড়ার মতো হয়ে যায়।

বিশেষ কিছু নিশ বা টপিক

  • প্রযুক্তি
  • স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
  • ভ্রমণ
  • ফ্যাশন
  • ব্যক্তিগত উন্নয়ন
  • রান্না ইত্যাদি।

ব্লগ প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন

প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন প্ল্যাটফর্মে ব্লগ শুরু করবেন। জনপ্রিয় কিছু ব্লগ প্ল্যাটফর্ম হলো:

  • WordPress.org: এটি একটি স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্ম যেখানে নিজের ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রয়োজন।
  • Blogger: গুগলের একটি ফ্রি প্ল্যাটফর্ম।
  • Medium: লেখকদের জন্য সহজ এবং সরল একটি প্ল্যাটফর্ম।

WordPress এবং Blogger সবচেয়ে জনপ্রিয়। WordPress অধিকতর কাস্টমাইজেশন এবং মনেটাইজেশনের সুযোগ দেয়, যেখানে Blogger সহজ এবং বিনামূল্যে।

তার সাথে আপনি বিভিন্ন ফোরাম ব্লগেও কাজ করতে পারেন। ফোরাম ব্লগ সেই সকল ব্লগ ওয়েবসাইটকে বলা হয়, যেটা কোন কোম্পানি বা মালিকের অধিনে থাকে, আর সাধারন মানুষ সেখানে তাদের নিয়ম নিতি মেনে কাজ করতে পারে। এর ফলে সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে আশা মানুষগুলো খুব সহজেই লেখা গুলো দেখতে পান এবং ক্লিক করে সেটি পড়েন ও।

ফলে যে ইনকাম হয়, তার কিছু অংশ মাত্র লেখকদের দেওয়া হয়। বাকিটা কোম্পানি নিজের কাছে রেখে দেয়। এমন সকল স্থানে লেখালেখি করলে যদিও খুব সহজে ভিউ পাওয়া যায়, কিন্তু সেখান থেকে তেমন ভালো ইনকাম করা যায় না, তাই নিজেই ব্লগ করে ইনকাম করা ভালো। তবে নতুন অবস্থায় শেখার জন্য করা যায়।

ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনুন

এটি তখন ই আপনার প্রয়োজন হবে যখন আপনি প্রফেশনার করে ব্লগিং শুরু করতে চান। কারন এর জন্য প্রতি বছর ই আপনার কিছু অর্থ এই কোম্পানিকে দিতে হবে।

আপনার ব্লগকে পেশাদারভাবে উপস্থাপন করতে একটি ভালো ডোমেইন এবং রিলায়েবল হোস্টিং কিনুন। ডোমেইন নামটি সহজ এবং মনে রাখার মতো হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ: mytechblog.com

ডোমেইন আপনি যেখানেই কাজ করেন না কেন, সেখানেই দরকার। তবে যদি ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করেন, তাহলে ই আপনার হোস্টিং বা সার্ভার প্রয়োজন।

ব্লগ ডিজাইন এবং সেটআপ করুন

পাঠকের জন্য একটি আকর্ষণীয় এবং ব্যবহার-বান্ধব ব্লগ ডিজাইন তৈরি করুন। আপনার ব্লগে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করুন:

  • মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন
  • দ্রুত লোডিং টাইম
  • সহজ নেভিগেশন

কনটেন্ট প্ল্যান তৈরি করুন

সফল ব্লগিংয়ের মূল চাবিকাঠি হলো মানসম্মত কনটেন্ট। শুরুতেই একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন—কোন দিনগুলোতে পোস্ট করবেন, কী ধরনের কনটেন্ট তৈরি করবেন ইত্যাদি।

কনটেন্ট তৈরি করুন

আপনার ব্লগের প্রাণ হলো এর কনটেন্ট। তাই পাঠকের জন্য মানসম্মত এবং প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ কনটেন্ট তৈরি করুন।

কন্টেন্টের উপরে ভিত্তি করেই আপনার সাইটে মানুষ আসবে। তবে একটি সময় ছিল মানুষ প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে বাধ্য হয়ে হলেও বিভিন্ন ব্লগে যেত। তবে এখনকার দুনিয়ায় যদি আপনি ভালো ফলাফল করতে চান, তাহলে মানুষের সুবিধা অসুবিধা এবং উপকারী তথ্য দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। কেননা বর্তমান সময়ে একই বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি কারার মতো হাজার হাজার ব্লগ সাইট রয়েছে।

  • ইউনিক এবং প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট লিখুন।
  • SEO (Search Engine Optimization) মেনে চলুন।
  • নিয়মিত পোস্ট করুন এবং পাঠকের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ফরম্যাটে (টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও) কনটেন্ট তৈরি করুন।

ব্লগ থেকে ইনকাম করার উপায়

যে যা ই বলুক না কেন, ইনকাম না হলে কেউ ই এই গাধার খাটুনি খাটতে রাজি নয়। তবে ইনকাম টা তো আর এতো সহজ ও নয়। কিন্তু যা ই হোক না কেন। ভালো পরিমানে ইনকাম পাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছুটা সময় দিয়ে কাজ করতে হবে। সেই সাথে ভালো কন্টেন্ট বেশি প্রয়োজন।

ভালো কন্টেন্ট বেশি হলেই আপনার সইটে বেশি ট্রাফিক বা ভিসিটর পাবেন। আর ভিসিটর বাড়লে তো ইনকাম ও বাড়বে এটা তো শত ভাগ নিশ্চিত।

ব্লগিং থেকে ইনকামের জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম হলোঃ

 গুগল অ্যাডসেন্স

শুধু গুগলের অ্যাডসেন্স ই নয়। এটাকে অ্যাড নেটওয়ার্ক বলে। অ্যাড নেটওয়ার্কে মাত্র একটি কোড আপনার সাইটে বসিয়ে দিলে অটোমেটিক তারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখাবে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন স্থানে। ফলে সেখান থেকে আপনি টাকা পাবেন।

বিশ্বের বেশ জনপ্রিয় অ্যাডনেটওয়ার্কের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এখন গুগলের অ্যাডনেটওয়ার্ক গুগল অ্যাডসেন্স। তাই আমরা বিশেষ ভাবে এই অ্যাড নেটওয়ার্ক সমন্ধে বলেছি।

গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এটি একটি সহজ এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি। আপনার ব্লগে বেশি ভিজিটর থাকলে আয়ও বেশি হবে। সেই সাথে এটি আপনার ব্লগ এবং আপনার ব্লগের ভিসিটরকে যথেষ্ট নিরাপদ রাখে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এটি ব্লগিং থেকে ইনকাম করার আরেকটি চমৎকার মাধ্যম। আপনি বিভিন্ন পণ্যের লিংক শেয়ার করবেন এবং পাঠক যদি সেই লিংক থেকে পণ্য কিনে, তাহলে আপনি কমিশন পাবেন। জনপ্রিয় কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হলো:

  • Amazon Associates
  • ShareASale
  • CJ Affiliate

তবে যদি আপনি নির্ধারিত কোন টপিকে কোন অঞ্চল থেকে কাজ করে থাকেন, তাহলে সেখানেও ওই টপিকের কোন না কোন কোম্পানি অ্যাফেলিয়েটের সুযোগ করে রাখছে হয়তো, তাই সেখানে জয়েন করে নিতে পারেন।

স্পনসর্ড পোস্ট

যখন আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, তখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার কাছে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য স্পনসর্ড পোস্ট লিখতে বলবে। এর মাধ্যমে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন সম্ভব।

তবে এই জন্য অপেক্ষা না করাই ভালো। কারন এই স্পন্সার পাওয়াটা খুবই কঠিন একটা কাজ। যা বেশি জনপ্রিয়তা না পেলে আপনার সাইটে কেউই দিতে চাইবে না।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করুন

আপনার ব্লগের মাধ্যমে আপনি ই-বুক, কোর্স, সফটওয়্যার ইত্যাদি ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন।

এখানে ডিজিটাল পন্যগুলো যে আপনার নিজের বানাতে হবে এমন নয়। আপনি চাইলে কারো থেকে কিনেও নিতে পারেন। বা অল্প টাকায় কাউকে দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। সেই সাথে সু খবর হলো বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যারা ডিজিটাল পন্য বিক্রি করে এবং সেই সাথে সেখানে অ্যাফেলিয়েট সিস্টেম করে রাখে।

এর ফলে আপনি সেই সকল সাইটে অ্যাফেলিয়েটে জয়েন করে শুধু একটি লিংক আপনার ওয়েবসাইটে দিয়ে রাখলেই আপনার ইনকাম হবে প্রতিটি সেল হওয়ার পরে।

মেম্বারশিপ এবং সাবস্ক্রিপশন

আপনার ব্লগের বিশেষ কনটেন্ট বা সুবিধা পেতে পাঠকদের থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি নিতে পারেন। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগ সাইটগুলোতে এই ধরনের সিস্টেম দেখা যায়। তার সাথে আবার বিশেষ ভাবে আপনি একাধীক বিষয়ে কাজ করতে পারেন।

বিশেষ সোর্স

আপনি যে এখানে শেয়ার করা একটি মাত্র উপায়ে ইনকাম করবেন, বিষয়টা এমন নয়। আপনি একই ওয়েবসাইটে সকল বিষয়ে কাজ করতে পারেন।

আপনি ধরে নেন, আপনার সাইটে অ্যাডনেটওয়র্ক রয়েছে। সাথে আপনি নিজের তৈরি করা কোন একটি টিশার্ট বা ভিন্ন কিছু সেল করতেছে। আবার আপনি একটি অ্যাপের স্পন্সর লিংক শেয়ার করলেন এবং একটি ঘড়ির অ্যাফেলিয়েট লিংক শেয়ার করলেন সেই সাথে আবার আপনি যেহেতু ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা ওয়েবসাইটের পোস্ট লিখতে পারেন তাই সেখানেই বলে দিলেন যে যাদের ব্লগ পোস্ট লেখক প্রয়োজন তারা আমাকে হায়ার করতে পারেন।

তাহলে আপনার সকল বিষয় থেকেই কম বেশি ইনকাম চালু থাকলো। এবার সকল বিষয়ে কাজ করবেন না কি একটি বিষয়ে কাজ করবেন তা একান্তই আপনার ব্যাাপার।

তবে সাধারনত, সকলে অ্যাডনেটওয়ার্ক এর সাথে স্পন্সর পেলে সেটি এবং বিশেষ পোস্টে অ্যাফেলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন। যেমন আপনি একটি বিশেষ থীম সমন্ধে পোস্ট লিখলেন, তাহলে সেখানে থীমের বা ডিজিটাল পন্যের অ্যাফেলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন।

এখন যদি আপনি শীতের পোশাক নিয়ে ব্লগ পোস্ট লিখে থাকেন, তাহলে সেখানে আপনি শীতের কিছু পোশাকের অ্যাফেলিয়েট লিংক ও শেয়াপ করতে পারেন। এভাই পজিশন বুঝে বুঝে ইনকাম বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

সফল ব্লগার হওয়ার জন্য টিপস

সফল ব্লগার হতে হলে শুধু কনটেন্ট লিখলেই হবে না; এর সঙ্গে আপনাকে আরও কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। ‌নিয়মিত এবং মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করুন

পাঠকদের ধরে রাখতে হলে নিয়মিত এবং তথ্যবহুল কনটেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানসম্মত কনটেন্ট আপনার ব্লগের মূল ভিত্তি

SEO (Search Engine Optimization) 

এটার মানেই হলো গুগলে আপনার পোস্টটি যেন সহজে খুজে পাওয়া যায়। আপনি ফেসবুক, ইউটিউব বা যেখানেই কাজ করেন না কেন। আপনার সেই প্লাটফর্মটি সমন্ধে বুঝে সেখানে ইন্জিনের সিস্টেম বুঝে আপনার অপটিমাইজ করে নিতে হবে।

আপনার ব্লগ যেন সার্চ ইঞ্জিনে উপরের দিকে থাকে, তার জন্য SEO শেখা জরুরি।সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) আপনার ব্লগে ভিজিটর আনতে সাহায্য করবে। সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার, মেটা ট্যাগ এবং লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনে উপরের দিকে নিয়ে আসতে পারবেন।

  • সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন
  • মেটা ট্যাগ ব্যবহার
  • ইমেজ অপ্টিমাইজেশন
  • ব্যাকলিংক তৈরি করা ইত্যাদি বিষয়ে মনোযোগ দিন।

ব্যাকলিংক বলতে বিভিন্ন ব্লগ সাইটের সাথে সম্পর্ক করতে হবে। যা এক কথায় ভিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক শেয়াপ করতে হবে।

পাঠকের সাথে সংযোগ বজায় রাখুন

আপনার পাঠকদের সাথে নিয়মিত ইন্টারঅ্যাক্ট করুন। কমেন্টের উত্তর দিন, তাদের মতামত নিন, এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় থাকুন।

একবার যদি পাঠকের সাথে সম্পর্ক ভালো করে নিতে পারেন, তাহলে সেই পাঠক হয়তো সারা জীবন আপনাার সাইটে আসবে তার প্রয়োজন হলেই। যা আমরাও করে থাকি, আমি নিজেও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আমার বিশেষ প্রয়োজনে যেয়ে তাকি।

ধৈর্য এবং অধ্যবসায়

পনেরো বছর পড়াশোনা করার পরে আপনি চাকরি করেন, সেখানে আপনার ব্লগিং শেখার জন্যেও তো কিছুটা সময় দেওয়া উচিৎ। আর সেই সাথে লক্ষ লক্ষ প্রতিদন্দিকে ছাড়িয়ে ভালো অবস্থানে আসার জন্যতো একটা ব্যাপার থেকেই যায়।

ব্লগিং থেকে আয় করতে সময় লাগে। ধৈর্য ধরতে হবে এবং ধারাবাহিকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

প্রতিযোগিতার ওপর নজর রাখুন

আপনার নিশে অন্য ব্লগাররা কীভাবে কাজ করছে, তা পর্যবেক্ষণ করুন। তাদের কৌশল থেকে শিখুন এবং নিজেকে উন্নত করুন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করুন

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার ব্লগের প্রচার করুন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং লিঙ্কডইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে সক্রিয় থাকুন।

ব্লগিংয়ের চ্যালেঞ্জ এবং সেগুলো কাটানোর উপায়

ব্লগিংয়ের যাত্রা সবসময় সহজ নয়। সময়ের সাথে সাথে মানুষ উন্নতি করতে পারে, এবং সেই সাথে ক্যারিয়্যারের সফলতার চ্যালেন্জটাও কঠিন হয়ে যায়। কিছু সাধারণ চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান এখানে তুলে ধরা হলো:

শুরুতে আয় না হওয়া

প্রথম কয়েক মাসে ব্লগ থেকে আয় না হওয়াই স্বাভাবিক। এই সময়ে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি ও ট্রাফিক বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিন।

 ব্লগের জন্য ট্রাফিক না পাওয়া

প্রাথমিক অবস্থায় ব্লগে পাঠক আকর্ষণ করতে SEO এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে কাজে লাগান।

প্রেরণার অভাব

ব্লগিং দীর্ঘমেয়াদি একটি কাজ। প্রেরণা হারিয়ে ফেললে, নিজের আগের অর্জনগুলো দেখে অনুপ্রাণিত হন এবং নতুন কৌশল নিয়ে কাজ শুরু করুন।

কিছু সফল ব্লগারের উদাহরণ

আমরা বিভিন্ন সময়ে কাজ করার সময়ে উদাহরন পেলে খুব ভালো ফলাফল করতে পারি, তার সাথে আবার দক্ষতার বিষয়েও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এবং সর্বপরি কথা হলো আমরা শিক্ষা অর্যন করতে পারি এবং সেই সাথে আবার আমরা অনুপ্রেরনাও পেয়ে থাকি। অনুপ্রেরণার জন্য কিছু সফল ব্লগারের নাম উল্লেখ করা যাক:

  • হাফিংটন পোস্ট (HuffPost): এটি একটি জনপ্রিয় ব্লগ যা এখন একটি বিশাল মিডিয়া হাউস।
  • প্যাট ফ্লিন (Smart Passive Income): তিনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছেন।
  • নীল প্যাটেল (Neil Patel): ডিজিটাল মার্কেটিং এবং SEO-এর ক্ষেত্রে একজন প্রভাবশালী ব্লগার।
  • বাংলা ভোর বাংলা ভোর একটি নিউজ পেপার ওয়েবসাইট। আপনি যদি একটি নিউজ পেপার নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে এটি দেখতে পারেন।

উপসংহার

ব্লগিং করতে ধৈর্য, সৃজনশীলতা এবং পরিকল্পনার প্রয়োজন। সফল ব্লগার হতে হলে সঠিক নিশ নির্বাচন, মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি, পাঠকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে হবে। ব্লগিং শুধু অর্থ উপার্জনের মাধ্যম নয়, এটি আপনাকে একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি এবং স্বপ্নপূরণের সুযোগও করে দিতে পারে।

তাহলে আর দেরি কেন? আজই আপনার ব্লগিং যাত্রা শুরু করুন এবং নিজের গল্প দিয়ে বিশ্বকে জানিয়ে দিন। কেননা আমাদের গল্পটাও এমন একটা সহজ ছিল না। আমরাও বেশ কঠিন ভাবে এই অবস্থানে এসেছি। এই পথটি অতোটাও মশৃন ছিল না।

What do you think?

Written by Ariful Daria

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

শিক্ষা জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার

শিক্ষা জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার